গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের বরাদ্দ দেওয়া স্পেকট্রাম চায় টেলিটক
দেশের একমাত্র সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক নিজেদের বরাদ্দ থ্রিজি স্পেকট্রাম বদলে নিতে আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলকে বরাদ্দ দেয়া নিচের দিককার শক্তিশালী স্পেকট্রাম পেতে তারা অন্তত দেড় বছর আগে আবেদন করেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর সর্বশেষ বিটিআরসি ১৬৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে উপস্থাপন করেছে।
এ ব্যাপারে টেলিটকের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ারসের ডিজিএম মো. মনিরুজ্জামান প্রিয়.কমকে বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বলে আমাদের সব সময়ই অগ্রাধিকার ছিল। নিলামে আমাদের অংশগ্রহণও করতে হয়নি। দেশে সবার আগে পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সে হিসেবে টেলিটক যৌক্তিকভাবেই স্পেকট্রাম পেতে আবেদন করেছে। তবে তিনি টেলিটকের আবেদন করা স্পেকট্রামের একটি খারাপ দিকের কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিচের দিকের স্পেকট্রাম শক্তিশালী হলেও তা ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু ঘনবসতি এলাকায় নিচের দিককার স্পেকট্রাম ভালভাবে কাজ করে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের শুরুতে থ্রিজি’র জন্য ১৯৬০-১৯৭০ মেগাহার্টজ আপলিংক এবং ২১৫০-২১৬০ মেগাহার্টজে ডাউনলিংক নেয় টেলিটক। এখন সেটি বদলে ১৯৩০-১৯৪০ মেগাহার্টজে আপলিংক এবং ২১২০-২১৩০ মেগাহার্টজে ডাউনলিংক চাইছে তারা। আর সেটিও না হলে একটি বিকল্প হিসেবে তারা চেয়েছে ১৯৪০-১৯৫০ মেগাহার্টজে আপলিংক এবং ২১৩০-২১৪০ মেগাহার্টজে ডাউনলিংক।
সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এমন প্রস্তাব টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠিয়েছে। বিটিআরসি অবশ্য ইতোমধ্যেই এমন প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেলিটক বা মন্ত্রণালয়ের যে কোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করলেই নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ করা স্পেকট্রাম পুনসজ্জা করতে হবে। ব্যাখ্যা হিসেবে তারা বলছেন, থ্রিজি’র জন্য সব মিলে স্পেকট্রাম আছে ৭০ মেগাহার্ডজ। অত্যন্ত শক্তিশালী এই স্পেকট্রামের অবস্থান আপলিংকে ১৯২০-১৯৬০ এবং ডাউনলিংকে ২১২০-২১৭০ পর্যন্ত।
আগেই ১৯৬০-১৯৭০ মেগাহার্টজে আপলিংক এবং ২১৫০-২১৬০ মেগাহার্টজে ডাউনলিংক দশ মেগাহার্টজ বাদ রেখে নীচের ২৫ মেগাহার্টজ বরাদ্দ নিয়েছে ৪টি অপারেটর। সেক্ষেত্রে এখন খালি আছে কেবল একেবারে নীচের দিকের ১৫ মেগাহার্টজ। এই ১৫ মেগাহার্টজ নিয়ে বিটিআরসি’র আরো বড় রকমের পরিকল্পনা আছে বলে জানা গেছে। এখান থেকে টেলিটককে দেওয়া হলে তখন বিটিআরসি’র খালি থাকা স্পেকট্রাম দুটি ভিন্ন ভাগে পড়ে যাবে। যেটি আর ভবিষ্যতে বেশী মূল্যে বিক্রি করা যাবে না।
source:(প্রিয় টেক)
0 comments:
Post a Comment